আজ বুধবার, ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রূপগঞ্জে হচ্ছে জগৎ বিখ্যাত মসলিন শাড়ি

নবকুমার:

জগৎ বিখ্যাত ঢাকাই মসলিন শাড়ি এখন রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার নোয়াপাড়া এলাকায় তৈরী হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। শনিবার ( ২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রূপগঞ্জে তাঁতী কার্ড বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন , রূপগঞ্জ বেসিক সেন্টারের পাশে তাঁত গবেষণা কেন্দ্র হবে। রূপগঞ্জে আরেকটি জামদানি পল্লী করার আমার ব্যবস্থা নিয়েছি। বাঙালি জাতির গর্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকাই মসলিন শিল্পকে উদ্ধার করতে বলেছেন। আমাদের তাঁত বোর্ড ঢাকাই মসলিনকে উদ্ধার করতে পেরেছে। নারায়ণগঞ্জে মসলিন শাড়ি তৈরী হয়েছে। বর্তমানে তারাব পৌরসভার নোয়াপাড়াতে আমরা ঢাকাই মসলিন শাড়ি তৈরী করেছি। ইতোমধ্যে ৩/৪টি শাড়ি তৈরীর কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে থেকে দুইটি শাড়ি প্রাথমিকভাবে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেবো। এরপর কিভাবে বাজারে শাড়িগুলো ছাড়া যায় আমরা সেই ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, রূপগঞ্জে আরেকটা মসলিন পল্লী করা হবে। জামদানি ,মসলিন দুইটাই হবে রূপগঞ্জ উপজেলায় । তারাবতে একটি বস্ত্র ও পাট জাদুঘর স্থান হবে। সারাদেশে তাঁত শিল্পের এসব উন্নয়ন হচ্ছে।
জানা গেছে “তাঁতীদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে চলতি মূলধন সরবরাহ ও তাঁতের আধুনিকায়ন” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইনোভেশন কার্যক্রম এর অংশ হিসেবে রূপগঞ্জে ২৬১ জনের মাঝে তাঁতী কার্ড বিতরণ হয় ।
বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহ আলমের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজাহান ভুঁইয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ নুসরাত জাহান সহ অনেকে।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে তাঁতের কাজ হয়। করোনার প্রভাবে এবার তাঁতের কাজ হয় নাই। পহেলা বৈশাখে কাজ না হওয়াতে তাঁতীরা নিঃশ্ব হয়েছে। সারাদেশে তাঁতীদের অবস্থা ভালো না। আমরা চেষ্টা করছি তাঁতীদের অবস্থার উন্নয়নের। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তাঁতীদের অবস্থার উন্নয়নের জন্য বেশি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন পেশাজীবীদের জন্য অনলাইন ডাটাবেজ তৈরী করছে। যার মাধ্যমে পেশাজীবীদের অবস্থা সম্পর্কে তিনি জানতে পারবেন। কিভাবে তাদের সহযোগিতা করা যায় সেই ব্যবস্থা করবেন। তার অংশ হিসেবে আজকের তাঁতী কার্ড বিতরণ।
মন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জে তাঁতী সবচেয়ে বেশি। তারপর সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া , টাঙ্গাইল। জামদানি মানেই রূপগঞ্জ। এখানে তাঁতী শিল্প গড়ে উঠেছে। আমার এলাকাসহ সমগ্র দেশের তাঁতীদের রক্ষা করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। তাঁতীদের বর্তমানে যে ঋণ দেওয়া হয় তাতে তাদের কিছুই হয় না। সহজ শর্তে ঋণের পরিমান বাড়ানো হবে। ঋণ নিয়ে তাঁতীরা টিকে থাকতে পারে সেই পরিমাণ ঋণ আমরা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, তাঁতী ভাইদের মুখে যেনো হাসি ফোঁটে সেই ব্যবস্থা আমরা করব। বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, একটা সময় ছিলো তাঁতীদের ঋন পাস হয়েছে একজনের নামে টাকা নিয়ে গেছে আরেক জন। এখন তা হবে না। কার্ডের মাধ্যমে তাঁতীদের ব্যাংক একাউন্টে ঋণের টাকা চলে যাবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ